এক দিনে কটি ডিম?

এক দিনে কটি ডিম?

একজন কে একদিনে বা এক সময়ে কটি ডিম নেওয়া উচিত? এটা শুনতে হাস্যকর মনে হয় যে মানুষ একদিনে 20-40 ডিম বা এমনকি আরও বেশি খেয়ে নেন. এটা শুনতে সত্যিই হাস্যকর যে প্রোটিন পাগলরা ভাবেন যে এটি তাদের মহান পেশি দেয়. কিন্তু বাস্তবতা এই যে এই সব অজীর্ণ খাদ্য হজম করতে না পেরে 80% টয়লেটে চলে যায় এবং এক একটি ভাল সার কারখানা তৈরি করে.

কিন্তু সত্য এই যে এক সময়ে 100 কেজির একজন মানুষ 15% শরীরের চর্বির সঙ্গে 30 গ্রাম প্রোটিনের চেয়ে বেশি এবং একদিনে মোট 130 থেকে160 গ্রামের বেশি হজম করতে পারেনা. যদি কেউ 70 কেজির হয় তাহলে একদিনে তার মোট চাহিদা হল 100 গ্রাম এবং এক সময়ে 20 গ্রামের চেয়ে বেশি নয়.

মানুষ মনে করে যে প্রোটিন কেবল ডিমে বা ঘোল পাউডারে হয়, তারা বিভ্রান্ত এবং ত্রুটিপূর্ণ. এটা সাধারণ জ্ঞাতব্যের জন্য যে প্রোটিন দুধ, ডাল, গম, ধান, বাদাম, শাক সবজি এবং সব আমিশ খাবার মধ্যে পাওযা যায়. তাহলে কেন ডিম বা ঘোল পাউডার কে শুধুমাত্র প্রোটিন উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়.

ডিম: 50 গ্রামের একটি গড় ডিম 80 ক্যালোরি এবং 5 গ্রাম চর্বি (সব কুসুমের মধ্যে এবং কিছু সাদা ভাগে), প্রোটিন 6 গ্রাম (ডিমের মধ্যে সব সাদা ভাগে এবং কিছু কুসুমের মধ্যে), 0.5 গ্রাম এর কম শর্করা এবং 215 মিলিগ্রাম কলেস্টেরল সরবরাহ করে.

এর অর্থ হল যে 6 টি ডিম1300 মিলিগ্রাম কলেস্টেরলের, 36 গ্রাম প্রোটিন, যা এক সময়ের প্রয়োজন থেকে বেশি এবং যা আমাদের অন্ত্রে দ্বারা হজম করাও কঠিন. এটা পছন্দের ব্যাপার এক সময়ে এক ধরনের প্রোটিন হজম হয় না. মানুষ হল একটি তৃণভোজী এবং মাংসাশী উভয় . এর মানে হল মানুষের অন্ত্রে পাচক এনজাইম ধরনের একটি অনুপাত যে উভয় শাকসব্জী এবং অ শাকসব্জী প্রোটিন সম্পূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিড প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে প্রয়োজন বোধ করে ডিজাইন করা হয়.

সুতরাং মানুষের খাদ্যে নিরামিশ খাদ্য + দুধ অথবা ডিম অথবা মাংস ইত্যাদি যাতে মোট অ্যামিনো অ্যাসিড প্রোফাইল, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, ট্রেস উপাদান সম্পন্ন করা উচিত যা বাড়তে ও পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে. এমন কোন গবেষণায় পাওয়া যায়নি যা বলে যে 20-30-40 টি ডিম আপনার পেশী উন্নত করতে সাহায্য করবে. গবেষণায় পাওয়া গেছে যে সপ্তাহে 3-4 বার 2-3 টি ডিম খেলে ওমেগা ফ্যাটি, চর্বি দ্রবণীয় ভিটামিন মত ডিম মাইক্রো, এইচডিএল ইত্যাদি উপাদানগুলোর সেরা প্রভাব পাওয়া যেতে পারে. এই সব মাইক্রো উপাদানগুলো প্রাচুর্য অসুস্থ প্রভাব ফেলতে পারে.

এক সময়ে 2-4 টি ডিম দিনে 2-3 বার ও খাদ্যশস্য মত অন্যান্য খাদ্য যেমন বাদাম, দুধ, সালাদ ইত্যাদি খাওয়া আদর্শ.

বিপুল সংখ্যার ডিমের উপর টাকা নষ্ট করবেন না. সারা বছর ধরে সুষম খাদ্য যেমন খাদ্যশস্য 50%, ডাল 20%, দুধ এবং আমিশ 20% খুব কম পরিমাণে দিনে 6-8 বার প্রত্যেকের খাওয়া উচিত.

RELATED ARTICLES

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please note, comments must be approved before they are published